how-cat-comes-to-the-earth

বিড়াল সৃষ্টি

দুনিয়াতে যখন অধর্ম ও ধর্মের নামে মূর্তির পূজা লিপ্ত হলো, এমনই অবস্থা আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে হযরত নুহ (আঃ) কে প্রেরণ করলেন, তিনি দীর্ঘ ৯৫০ বছর জীবিত ছিলেন, তিনি সুদীর্ঘ জীবনে নিজ সম্প্রদায়কে সৎপথে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন, কিন্তু মাত্র ৪০ জন পুরুষ এবং ৪০ জন স্ত্রী লোক প্রচারিত সত্য ধর্ম গ্রহণ করেছিল, তাছাড়া অন্যান্য সকলেই তাকে পাগল বলে ঠাট্টা- বিদ্রুপ করে নানাভাবে তার প্রতি অত্যাচার করতে, তারপর নুহ (আঃ) আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন, فدعا ربه اني مغلوب فانتصر অর্থঃ নুহ ডেকে বলল- হে রব! আমি পরাজিত হয়েছি সুতরাং আপনি প্রতিশোধ গ্রহণ করেন,

তারপর মহান রাব্বুল আলামিন হযরত নুহ (আঃ) কে একটি কিশতী (নৌকা) বানানোর নির্দেশ দেন, কিশতির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে প্লাবন শুরু হয়ে গেল, আর সেই নৌকায় যে ৪০ জন পুরুষ এবং ৪০ জন নারী আল্লাহর দিনকে মেনেছিল তারা আহরণ করেছিল, এবং আল্লাহ যে সকল প্রাণী বংশধারা দুনিয়াতে রাখার প্রয়োজন সেগুলোকে এক জোড়া করে নৌকা তোলার নির্দেশ দিলেন,

وقال اركبوا فيها بسم الله مجرها ومرسها ان ربي لغفور رحيم ،

অর্থঃ আর নুহ বললেন, আল্লাহর নামেই সেটির চলা এবং সেটির থেমে থাকা, নিঃসন্দেহে আমার রব পরম করুণাময় ও বড়ই ক্ষমাশীল, ( সূরা হুদঃ আয়াত নং ৪১-৪২)

উক্ত আয়াত পাঠ করার সাথে সাথে নৌকা প্লাবনে পানিতে চলতে শুরু করে, আরোহীদের মলমূত্র ত্যাগের কারণে নৌকা দুর্গন্ধময় হয়ে পড়ে। হযরত নূহ (আঃ) আল্লাহর নিকট আবেদন করলেন, প্রত্যাদেশ হলো, হে নূহ! হাতির চেহারায় হাত বুলান, আল্লাহ পাকের নির্দেশে হাতির চেহারার হাত বুলালে আল্লাহর কুদরতে হাতি নাষিকা থেকে দুটি শুকর জন্ম নেয়, এবং ওই শুকর দুটি নৌকার মধ্যস্থ সব মলমূত্র সাবার করে সাফ করে ফেলে, এ দৃশ্য দেখে পাপিষ্ঠ ইবলিশ শূকরের চেহারায় হাত দিলে তার নাক থেকে দুটি ইদুর জন্ম নেয়, ইদুর দুইটি নৌকার বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র করতে আরম্ভ করলে, হযরত নূহ (আঃ) আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানান, তার ফরিয়াদে জিবরাঈল (আঃ) এসে বললেন আপনি বাঘের চেহারায় হাত বুলান, জিব্রাইল (আঃ) এর কথা অনুসারে বাঘের চেহারায় হাত বুলাতেই তার নাক থেকে দুটি বিড়াল জন্ম নেয়, বিড়াল দুটি নৌকায় সব ইদুর খেয়ে ফেলে, সেই দিন থেকেই বিড়াল আর ইঁদুরের শত্রুতা চলে চলে আসছে,

তাই দেখবেন....

হাতির নাসিকার মতই শুকরে নাসিকা, (-)